নিজস্ব প্রতিবেদক…..
নারায়ণগঞ্জে রহমান শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণে ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের বাধা, জেলা প্রশাসক ও ভূমি মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জ থানাধীন সানারপাড় এলাকায় ৫২.৫ শতাংশ বৈধ মালিকানাধীন জমিতে নির্মাণাধীন রহমান শপিং কমপ্লেক্স প্রকল্পটি ভূমিদস্যুদের বাধার মুখে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় একটি চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট দীর্ঘদিনের বৈধ মালিকদের জমিতে অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছে।
জানা গেছে, বিগত ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে দাগ নং ১৬২, ২২৫, ২২৬ ও ২২৯ অন্তর্ভুক্ত জমিটি বৈধভাবে মোহাম্মদ আলী গং-এর দখলে রয়েছে। জমির সিএস, এসএ ও আরএস রেকর্ড, দলিল, নামজারি ও খাজনার সকল কাগজপত্রও তাদের অনুকূলে রয়েছে।
সম্প্রতি, সানারপাড় এলাকার হাফিজউদ্দিনের ছেলে কামাল (৪৬), মনতাজ উদ্দিনের ছেলে মনিরুজ্জামান মনির (৫৫), মো. আব্দুল খালেকের ছেলে রুবেল (৪৪), আজগর আলীর ছেলে ফিরোজ মিয়া (৫৩), জামাল খানের ছেলে মতিন খান (৫৪), স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শাওন ও সৈয়দ হোসেন – এদের নিয়ে গঠিত একটি সিন্ডিকেট রহমান শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণে বাধা প্রদান শুরু করে।
ভূক্তভোগী পক্ষের অভিযোগ, এই সিন্ডিকেট প্রায় ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করছে এবং নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিতে হুমকি দিচ্ছে। গত ২ জুলাই ২০২৫ তারিখে অভিযুক্তরা নির্মাণাধীন স্থানে অবৈধভাবে সাইনবোর্ড টানিয়ে জমি দখলের চেষ্টা চালায়। তবে স্থানীয়দের তৎপরতা এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়। যদিও এরপর থেকে নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে,
মালিক পক্ষের প্রতিনিধি মামুনুর রহমান জানান, “আমরা কারো সঙ্গে দ্বন্দ্বে যেতে চাই না। তবে যদি বৈধ কাগজপত্র কেউ দেখাতে পারে, আমরা জমি ছেড়ে দিতে রাজি। কিন্তু গত ৩৫ বছরেও তারা একটি কাগজ দেখাতে পারেনি।”
স্থানীয় বাসিন্দারাও এদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, “ভূমিদস্যুরা কেবল গায়ের জোরে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”
এ বিষয়ে ইতোমধ্যে সিদ্দিরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং: ১৮৯৪/২৫) করা হয়েছে এবং জেলা প্রশাসক ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, রহমান শপিং কমপ্লেক্স শুধু একটি বাণিজ্যিক ভবন নয়, বরং এটি এলাকাবাসীর অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতীক। ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এই উন্নয়ন কার্যক্রমকে টিকিয়ে রাখা জরুরি।
Leave a Reply