1. admin@am24newstv.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৮ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে দেশ টিভির সংবাদের ব্যাখ্যা দিলেন সাংবাদিক। 

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক….

গত ১৯ ফেব্রুয়ারী দেশের দর্শক নন্দিত চ্যানেল দেশ টিভিতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির আসামীর নিকট থেকে দুটি ফোন উদ্ধারকে কেন্দ্রকরে সংবাদ প্রচার হয়েছে।
সংবাদে একটি কল রেকর্ড ব্যবহার করা হয়েছে। সেই কল রেকর্ডটি একজন গণ মাধ্যম কর্মীর। জানাগেছে তথ্য সংগ্রহ কারি সেই গণমাধ্যম কর্মী রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, ও ঢাকাস্থ প্রেস উইনিটির সদস্য। তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের নানা অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করছেন।তিনি সংবাদ চলমানকে জানান গত ২৪ সালের ১ ডিসেম্বর, ৩ ডিসেম্বর, ২৪ ডিসেম্বর, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি ৪ ফেব্রুয়ারী, ৯ ফেব্রুয়ারী তারিখে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের নানা অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করে আসছি। সকল সংবাদের সাথেই অনিয়মের প্রধাম মেহমান ডি আইজি প্রিজন্স কামাল হোসেনের নাম রয়েছে। সর্বশেষ ১৬ ফেব্রুয়ারী একজন কারারক্ষীর ফোন আসে আমার নিকট। ফোনে সেই কারারক্ষী জানান ১৩ ফেব্রুয়ারী কারাগারের ২০ সেল নামক সেল থেকে মতিন ও তরিকুল নামের দুইজন ফাঁসির আসামীর নিকট থেকে দুটি দামি ফোন উদ্ধার হয়েছে। তিনি সেই ফোন উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে ডি আইজি প্রিজন্স কামাল হোসেন ও জেল সুপার রত্না রায় জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেন। ঐ দিন কারাগারের ভেতর থেকে একজন বন্দী ফোন করে মোবাইল উদ্ধারের ঘটনার বিবরণ দেন। সন্ধ্যায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন প্রধান কারারক্ষীর আলোচনা উঠে আসে গোপন ক্যামেরায়। তিনিও ফোন উদ্ধারের আলোচনার সাথে ডি আইজি বাবুর কারা অভ্যন্তরে গুরু ছাগলের খামারের বিষয় তুলে ধরেন। তুলে ধরেন নানা অনিয়ম লুটপাট কান্ড। একই সাথে তিনটি তথ্য মিলে যাওয়ায় ১৭ ফেব্রুয়ারী আবারো সংবাদ প্রকাশিত হয় কারাগারে মোবাইল উদ্ধার ও ডি আইজি কামাল হোসেন ও রত্না রায়ের লুটপাট কান্ড নিয়ে। সংবাদ প্রকাশের পরে ঐ দিন সন্ধায় সেই কারারক্ষীর বাসায় গিয়ে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে আনেন ডি আইজি প্রিজন্স এর পেটুয়া কারারক্ষী বাহিনী। সেই ফোনে রেকর্ড হওয়া ডি আইজি প্রিজন্সের নামে রহস্যময়ী রেকর্ড গুলো গায়েব করে জেল সুপার রত্না রায়ের উপর দায় চাপানো আংশিক রেকর্ড দেশ টিভির প্রতিবেদকের নিকট তুলে দেন কামাল হোসেন। কারারক্ষীর নিকট থেকে মুঠো ফোনে তথ্য সংগ্রহ করা কলরেকর্ডে আসা ব্যক্তি একজন গণমাধ্যম কর্মী। দীর্ঘ ২১ বছর সাংবাদিকতা পেশার সাথে তিনি জড়িত, কল রেকর্ডে স্পষ্ট ভাবে তার নাম্বার রয়েছে। তার সাথে কথা না বলে তাকে জৈনক ব্যক্তি উপাধি দিয়ে দুর্নীতিবাজ ডি আইজির নিকট থেকে রেকর্ড নিয়ে সংবাদ প্রচার করা দেশ টিভির মত একটি চ্যানেলের মানায় না। ডি আইজি প্রিজন্সের দপ্তরের একটি সুত্র বলছে প্রিজন্স কামাল হোসেন তো ছাত্রলীগের এজেন্ডা আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে দেশের ৯৬ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মধ্যে তার নাম এসেছিল তিনি সু চতুর জাতীয় দৈনিক আওয়ার বাংলাদেশ, জাতীয় দৈনিক প্রভাত, ও সংবাদ চলমান পত্রিকায় ধারাবাহিক সংবাদ প্রচার হয়ার কারণে নিজে রক্ষা পেতে কৌশলে দেশ টিভির হাতে সেই কলরেকর্ড তুলে দিয়ে নিজের বানী প্রচার করছেন। রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বলেন কারাগারের ভেতর থেকে মুঠো ফোনে বন্দীদের দেওয়া এক ডজনের বেশি রেকর্ড আমার হাতে আছে। তিনি আরো বলেন কারাগারের অনিয়ম দুর্নীতি, কামাল হোসেনের লোপাট বানিজ্য নিয়ে মুখ খুলেছেন কারারক্ষী, প্রধান কারারক্ষী, ভেতরের সাজা প্রাপ্ত বন্দী ও কারা সংশ্লিষ্টরা। সে গুলো আমাদের প্রেসক্লাবে সংরক্ষিত রয়েছে। কারা মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ের একটি সুত্র বলছে প্রিজন্স কামাল হোসেনের নামে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে কারা অধিদপ্তরে। অপর দিকে দুর্নীতি দমন (দুদক) এর প্রধান কার্যালয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা একটি সুত্র বলছেন নতুন ভাবে আবারো তার নামে অভিযোগ এসেছে সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তার হাজতে অথবা আত্নগোপনে থাকার কথা তিনি এখনো কিভাবে ডি আইজি প্রিজন্স এর দায়িত্ব পালন করছেন বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের গুরুত্ব সহ দেখা উচিত। দেশ যখন সংস্কারের পথে তখনো কিভাবে তাদের হাতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকে। আইজি প্রিজন্সের মহতি উদ্যোগকে কলঙ্কিত করতে পারে ডিআইজিপিজন্স কামালের কর্মকাণ্ড।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025