নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীঃ নরসিংদীতে ৪০ কেজি গাজা ও বিসমিল্লাহ ট্রাভেলস নামে একটি বাস আটক সহ তিনজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে নরসিংদী মডেল থানার পরিদর্শক এম, নাইমুল ইসলাম মোস্তাক ও তার সঙ্গীয় ফোর্স।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী ) ভোর সোয়া পাচটার দিকে নরসিংদী মডেল থানাধীন বাসাইল এলাকার জনপ্রিয় হোটেলের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চেকপোষ্ট চলাকালে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার জাংগাল এলাকার মৃত জালু মিয়ার ছেলে মোঃ রনি (২৬), হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার পশ্চিম মাধবপুর এলাকার আব্দুল হাসিম এর ছেলে হাসান মিয়া (২২) এবং পলাতক আসামী নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার নোয়াদিয়া খলাপাড়া এলাকার সিরাজ উদ্দিনের ছেলে জুনায়েদ মিয়া (৩২)।
নরসিংদী মডেল থানার ওসি এমদাদুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
, নরসিংদী মডেল থানার জিডি নং-২০৮, মূলে নরসিংদী মডেল থানা এলাকায় গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল, ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান ডিউটি চলাকালীন ভোর পৌনে পাচটার সময় সাটিরপাড়া শাপলা চত্ত্বর মোড়ে অবস্থানকালে গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে নরসিংদীর বাসাইল এলাকা থেকে বিসমিল্লাহ ট্রাভেলস এর একটি লাল রংয়ের বাস আটক করা হয়।যাহার রেজিঃ ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৪৬০৮।
এসময় মো. রনি ও হাসান মিয়া পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের আটক করে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চালকের সিটের নীচ থেকে ৪০ কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত গাজার বর্তমান আনুমানিক বাজার মূল্য ৮ লক্ষ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে উদ্ধারকৃত আলামতের কথা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায় যে, উদ্ধারকৃত ৪০ (চল্লিশ) কেজি গাঁজার মালিক পলাতক আসামী মোঃ জুনায়েদ ড্রাইভার। উক্ত আসামী মোঃ জুনায়েদ ড্রাইভার হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর এলাকা হতে গাড়ীতে গাঁজা উঠিয়ে দিয়ে অন্য কোন যাত্রী না নিয়ে ঢাকায় চলে যেতে বলে এবং সে তাদের পেছনে অন্য গাড়ীতে আসতে থাকে। ধৃত আসামী এবং পলাতক আসামী পরস্পর যোগসাজসে একে অপরের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে সমগ্র বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য গাঁজার ব্যবসা করে আসছে।
এঘটনায় ২০১৮ সনের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬(১) এর ১৯(গ)/৪১/৩৮ ধারায় নিয়মিত মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানাযায় ।
Leave a Reply