নিজস্ব প্রতিবেদন……
উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ায় খুলনায় কমেছে শীতকালীন সবজির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে পাইকারিতে প্রতি কেজি সবজিতে কমেছে ২ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। দরপতনে ক্রেতারা স্বস্তিতে থাকলেও ক্ষতির মুখে কৃষক। পরিবহন খরচও উঠছে না বলে দাবি তাদের। খুলনার সোনাডাঙ্গা কেসিসি পাইকারি কাঁচা বাজার। ভোর থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে ঘন কুয়াশার মাঝেই সরগরম এ পাইকারি বাজার। শীত মৌসুমের সবজি কিনতে দূর দূরান্তের ব্যবসায়ী, পাইকার ও খুচরা ক্রেতারা ভিড় করেন এ বাজারে। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বিপরীত চিত্র বাজারের। প্রকারভেদে প্রতি কেজি সবজিতে দাম কমেছে ২ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে প্রতিকেজি শিস ৯ থেকে ১২ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৮ থেকে ১০ টাকা, টমেটো ১২ থেকে ১৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১০ থেকে ১৩ টাকা ও গাজর ১০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি মুলা ৪ থেকে ৫ টাকা, শষা ১০ থেকে ১৫ টাকা ও বেগুন ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৫ টাকায়। সবজির নিম্নমুখী দামে সাধারণ ক্রেতারা স্বস্তিতে থাকলেও চিন্তার ভাঁজ কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কপালে। উৎপাদিত সবজির পরিবহন খরচও উঠছে না বলে দাবি তাদের। ক্রেতারা জানান, বাজারে কমেছে শীতকালীন শাক-সবজির দাম। যা ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। সারা বছর সবজির দাম এমন থাকলে ক্রেতাদের মনে স্বস্তি থাকবে। আর বিক্রেতা ও আড়তদাররা বলছেন, দাম পড়ে যাওয়ায় গুনতে হচ্ছে লোকসান। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা। ব্যবসায়ী সালাম মোড়ল বলেন, ক্রেতারা আনন্দ প্রকাশ করলেও কৃষক শেষ। ব্যবসায়ীদের অবস্থাও খারাপ। অনেক কৃষক মাঠ থেকে ফসল তুলছে না। ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে। সামনের দিন কিভাবে চলবে বলে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। কৃষকরা বলছেন, উৎপাদন বেশি হওয়ায় সবিজর দাম একদম পড়ে গেছে। দাম না পাওয়ায় উঠছে উৎপাদন ও পরিবহন খরচ। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে। সিটি করপোরেশন পরিচালিত পাইকারি এ কাঁচা বাজারে দেড় শতাধিক আড়তদার রয়েছে।
Leave a Reply