1. admin@am24newstv.com : admin :
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন

খুলনার দাকোপে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার বেশী জমিতে রোধানের চাষাবাদ হচ্ছে।

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদ।

খুলনার দাকোপে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার বেশী জমিতে রোধানের চাষাবাদ হচ্ছে

খুলনার দাকোপ উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধান চাষা আবাদের কাজে মাঠে নেমে পড়েছেন কৃষকেরা। বাড়তি ফসলের আশায় কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকালেই মাঠজুড়ে কৃষকরা বোরোর ধান রোপনের জন্য নির্ধারিত জমি ছাড়াও অনাবাদি হিসেবে পরিচিত আউশ ও আমন জমিতেও বোরোর চারা রোপণ করছেন। মাঠে মাঠে এখন বোরো রোপণের ধুম। কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাঁরা। কৃষকেরা বলেন, দীর্ঘদিন ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার পর এবার আমনের দাম অনেকটা ভালোই পেয়েছি। সেই আশায় উৎসাহ-উদ্দীপনায় ফের বোরো আবাদ শুরু করেছি। দাকোপ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে মাঠে মাঠে চলছে বীজতলা ও ফসলি জমি প্রস্তুত করার কাজ। জমিতে জমিতে হাল চাষ, বীজতলা থেকে ধানের চারা ওঠানো এবং ধানখেতে চারা রোপণের কাজ চলছে। আগাম জমি প্রস্তুত করে কে কার আগে ধানের চারা রোপণ করবেন-এ নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে নিম্নাঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে।এদিকে মাঘের শুরুতেই তীব্র শীত থাকায় উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েক দিনের টানা শৈত্যপ্রবাহে বোরো ধান আবাদে কৃষকেরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ধানের চারা পোড়া বা ঝলসানো রোগে মরেছে। অনেক চারা কুয়াশাচ্ছন্ন এই আবহাওয়ায় রবি ফসলও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। চাষাবাদে তাই বাড়তি যত্ন নেওয়া ও সতর্ক থাকা জরুরি। তীব্র শীতের কবল থেকে বোরো চারা রক্ষায় কৃষকদের জন্য পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। দাকোপ উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, লবণাক্ত অঞ্চল দাকোপ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩৫০ হেক্টর জমিতে। এদিকে দাকোপ উপজেলার চুনকুড়ি উওর পাড়া গ্রামের কৃষক মলয় বিশ্বাস, মাইকেল বিশ্বাস ও তাপস বিশ্বাস জানান, ‘গত আমন মৌসুমে ধানের ফলন এবং বাজারমূল্য ভালো পাওয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে পৃথক ভাবে ৩ বিঘা ও ২ বিঘা এবং ২ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছি। শীতে বীজতলায় একটু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু ধানের চারা রোপণের পর সে সমস্যা আর নেই। তবে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে খালের গেটের মুখে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে পানি না রাখার কারণে চলতি মৌসুমে পানির সংকট দেখা দিতে পারে বলে তারা মনে করেন। এ ব্যাপারে দাকোপ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫০হেক্টর। কিন্তু যেভাবে এ উপজেলাতে বোরো আবাদের বীজতলা দেখা গেছে তাতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে প্রায় ৪০০ হেক্টর জমিতে এ বছর বোরো চাষ হবে। বর্তমান চাষিরা বীজতলা থেকে ধানের চারা সংগ্রহ করে ক্ষেতে রোপণ করছেন। যেসব ক্ষেতে রোপণ করা হবে তা আগামী সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে ধারণা করেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025